প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নিহত ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিল। তখন ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী শক্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন চলছিল। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
এতে আরও বলা হয়, ওইদিন বিকেল ৩-৪টায় ওয়াসিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং ওইসময়ে তার ওপর আসামিদের নির্দেশে এবং তাদের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ও লাঠিসোঁঠা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিম গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। গত ১৮ আগস্ট নিহত ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন।