Admin
প্রকাশ : 4 দিন আগে
আপডেট : 4 দিন আগে
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, এটি স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণের পথ তৈরি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্ভব হয়েছে দেশের গণমানুষের সংগ্রামের মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায়, যার মধ্যে নাগরিক ঐক্য অন্যতম অংশীদার।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এই আলোচনা অব্যাহত রেখে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জুলাইয়ের মধ্যে সনদটি প্রকাশ করা, যাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা তৈরি হয়। এবং এই সনদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নির্বাচন হবে।
আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এবং আমরা সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের লক্ষ্য অর্জনের পথ খুঁজছি। ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একত্রে এগিয়ে যেতে চাই।
বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দীপু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ছিল, যা দীর্ঘদিন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ৫৪ বছর পর সরকার এই যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ও সুশাসন অর্জন করতে পারব।
ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত সংগ্রহ করছে। জিল্লুর চৌধুরী দীপু জানান, আমরা ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৪টিতে একমত হয়েছি, ১১টিতে আংশিক একমত, এবং বাকিগুলোতে মতামত জানাতে পারিনি। আমরা আশা করি পরবর্তী আলোচনায় এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে, যার নেতৃত্বে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানরা।
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে ১৩ মার্চের মধ্যে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৯টি দল এখনও তাদের মতামত দেয়নি। ইতোমধ্যে ছয়টি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, এবং পরবর্তীতে অন্যান্য দলের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।