ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫
শুধু সাংবাদিকতা নয়—রক্তদানে, অসুস্থদের সহায়তায়, পথচারীদের খাবার বিতরণে, তরুণদের সামাজিক কাজে যুক্ত করা, কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ—বহুমুখী মানবিকতার এক জীবন্ত উদাহরণ তিনি।
প্রতি ট্রিপে মাছ ধরার সময় ১৫-২০ জন জেলে ১০-১৫ দিন সমুদ্রে অবস্থান করেন। এ সময় ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেট, কসমেটিকসের মোড়ক, পলিথিন ব্যাগ ইত্যাদি সাগরে ফেলে দেন, যা তলদেশে জমে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, প্রোটিন এবং পরিবেশের ভারসাম্যে ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে।
খোকনের ভাষায়,
“এভাবে চলতে থাকলে একসময় হয়তো আর কোনো সামুদ্রিক মাছই থাকবে না।”
খোকন নিজ উদ্যোগে মাছ ধরা ৫০টির বেশি ট্রলারে গিয়ে জেলেদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি ট্রলারে নির্দিষ্ট ড্রাম, বস্তা বা বাক্সে প্লাস্টিক রাখার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন, যাতে জেলেরা সেগুলো কূলে এনে নির্ধারিত স্থানে ফেলে।
তিনি বলেন,
“জেলেরা আমাদের সম্পদ। তাদের সচেতন করলেই সমুদ্রকে রক্ষা করা যাবে। আমার স্বপ্ন—একদিন সাগরে কেউ প্লাস্টিক ফেলবে না।”
মাছ ধরা ট্রলারের জেলে আবদুল কাদের, বেলায়েত হোসেন ও জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন:
“আগে সাগরে প্লাস্টিক ফেলে দিতাম, কিন্তু এখন জানি এটা ক্ষতিকর। খোকন ভাই আমাদের বুঝিয়েছেন—আমরাও এখন বর্জ্য নিয়ে কূলে আসি এবং নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলি।”
🧑⚖️ সিনিয়র আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্তনীয়া বলেন:
“এটি ব্যতিক্রমী এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ। রাষ্ট্র চাইলে এ ধরনের কাজ আরও বড় পরিসরে কার্যকর করতে পারে।”
🎣 বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন:
“খোকনের এ কাজ অব্যাহত থাকলে এক সময় জেলেরা নিজেরাই প্লাস্টিকবিরোধী হয়ে উঠবে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ নামক নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত খোকন।
স্থানীয় তরুণদের নিয়ে গঠন করেছেন ‘পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’।
লক্ষ্য: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন ও প্রাকৃতিক সমুদ্র উপহার দেওয়া।
খোকনের জেলেদের সঙ্গে কথোপকথনের ছবি
ট্রলারে রাখা প্লাস্টিক সংগ্রহের ড্রাম
পাথরঘাটা ঘাটের চিত্র
#শফিকুল_ইসলাম_খোকন #প্লাস্টিক_দূষণ #উপকূল_সুরক্ষা #জেলে_সচেতনতা #পরিবেশ_রক্ষা #জলবায়ু_পরিবর্তন #পাথরঘাটা #সমুদ্র_অর্থনীতি #সামুদ্রিক_জীববৈচিত্র্য #স্বেচ্ছাসেবী_কর্ম #বাংলাদেশ_উপকূল