ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫
শনিবার (২১ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস জানায়, এ ঋণ সরকারি ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তা করবে, যা দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিতের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
গেইল মার্টিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন:
“বাংলাদেশ সরকার উচ্চাভিলাষী সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে—যা আরও উন্মুক্ত, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করবে। এই অর্থায়ন সেই পদক্ষেপগুলোরই স্বীকৃতি।"
প্রধান সংস্কার ও খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার:
কর নীতি ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
সংসদীয় অনুমোদন ছাড়া কর ছাড়ের অবসান
ব্যাংক খাতে দুর্বলতা রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ানো
ই-জিপি বাধ্যতামূলক, সরকারি প্রকল্পের নথি প্রকাশ্য করা
শক্তিশালী নিরীক্ষা ও পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা
ডায়নামিক সোশ্যাল রেজিস্ট্রি গঠনের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা আরও কার্যকর করা
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। ফলে সরকার গুণগতমানের পাবলিক সার্ভিস দিতে পর্যাপ্ত অর্থ জোগাড় করতে পারছে না। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পুষিয়ে উন্নয়ন কাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা বলেন:
“সরকারি তথ্যব্যবস্থা ও সুবিধাভোগীর টার্গেটিং উন্নত হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো হবে আরও কার্যকর। ফলে, অর্থনৈতিক ধাক্কা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও জনগণ পাবে জরুরি সহায়তা।”
এছাড়া তিনি আরও বলেন,
“এটা কেবল একটি ঋণ নয়, এটি বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কাঠামোর প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থা ও সমর্থনের প্রকাশ।”
সূচক | পরিমাণ |
---|---|
নতুন প্রতিশ্রুত ঋণ | ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার |
স্বাধীনতা-পরবর্তী মোট প্রতিশ্রুতি | ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি |
#বিশ্বব্যাংক #বাংলাদেশঅর্থনীতি #WorldBankLoan #বাংলাদেশঅর্থায়ন #সরকারিসংস্কার #জবাবদিহিতা #ইজিপি #TaxReform #BangladeshDevelopment