ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫
সোমবার (১৯ মে) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ মে তার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় আনা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। মলিন মুখে, মাথা নিচু করে একেবারে নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। কোনো কথা বলেননি আদালতের উদ্দেশে।
পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে বলেন, “নুসরাত ফারিয়া একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। তিনি নাটক-সিনেমার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি ছাত্রদের বিরোধিতা করেন।”
এই বক্তব্য শুনে সামান্য কাঁদতে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় তাকে।
শুনানি শেষে তাকে আদালত চত্বরের হাজতে নেওয়া হলে, নিচে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। পুরো সময়টাই ছিলেন নীরব।
গতকাল রোববার (১৮ মে) সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী ফ্লাইটে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। ভাটারা থানার একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র জানায়, আটকের পর তাকে সরাসরি থানা না এনে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নুসরাত ফারিয়া ক্যারিয়ার শুরু করেন রেডিও জকি হিসেবে। এরপর ২০১৩ সালে উপস্থাপনার মাধ্যমে টেলিভিশনে পথচলা শুরু। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ২০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি, তিনি উপস্থাপক ও মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন।