ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন,
"দেশের প্রয়োজনে আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব, তবে রাজনৈতিক সালিশের নাম করে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।"
হাসনাত বলেন, “দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি মোটেই স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। যারা অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন, তাদের এমনভাবে টার্গেট করাটা এক ধরনের রাজনৈতিক অপপ্রয়াস।”
তিনি উল্লেখ করেন, এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী তকমা দিয়ে একটি ‘কৌশলগত চরিত্রহনন’ প্রচারণা চলছে।
সম্প্রতি সেনাপ্রধানের একটি আলোচিত বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হাসনাত বলেন,
“আমাদের অবচেতনে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক সমস্যার সালিশে পরিণত করার একটি প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। অথচ বিএনপি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানে—সেনা হস্তক্ষেপ কী ভয়াবহ হতে পারে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন এবং তারেক রহমানের উপর নির্যাতনের ইতিহাস।
হাসনাত বলেন,
“সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার। প্রয়োজন হলে আমরা তাদের সঙ্গে হাত মিলাব। তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, কেউ যেন আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের রাস্তা প্রশস্ত না করে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে পাশে থাকা সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,
“ক্ষমতাসীনদের বিচারের দাবিতে সব দলের একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক সংস্কার নিশ্চিত করে দ্রুত নির্বাচন এখন সময়ের দাবি।”
তিনি সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলেন,
“ক্ষণস্থায়ী ফায়দা লুটতে গিয়ে যদি গণআকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়, তবে তা হবে ঐতিহাসিক ব্যর্থতা।”
হাসনাত জোর দিয়ে বলেন,
“বাইরের কাউকে রাজনৈতিক মাতব্বরি করার সুযোগ দিলে আমরা নিজেদের সম্ভাবনাকেই ধ্বংস করব। শুদ্ধ গণতন্ত্রের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য অপরিহার্য।”
✅ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মেনে নয়
✅ ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক
✅ সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক সালিশে পরিণত হওয়া উচিত নয়
✅ সকল দলের ঐক্য দরকার আওয়ামী লীগের বিচারে এবং অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে
✅ বিদেশি মাতব্বরি প্রতিহত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে হবে