ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চলতি সপ্তাহের বৈঠকটি পরিণত হয় এক শেষপর্যন্ত উত্তপ্ত বাদানুবাদের ইভেন্টে, যেখানে ইরান ও ইসরায়েল নিজেদের তিরস্কারসহ দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধের দায় চাপাচ্ছে একে অপরের উপর। যদিও শান্তি আহ্বান হয়েছে, পরিষদ কোনো একমতিতে পৌঁছায়নি
ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন,
“ইসরায়েল ও তার মিত্ররা আগ্রাসনের নাম ধরে এটিকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করছে।”
তদন্তের সময় তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুদের ছবি তুলে ধরেন।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন পাল্টা অভিযোগ ছুঁড়ে,
“ইরান ভুক্তভোগী সেজে নাটক করছে... গণহত্যার পরিকল্পনা থেকে পরিত্রাণ চাইতে সাহস করছে।”
যুক্তরাষ্ট্র: ডরোথি ক্যামিল শে বলেন:
“ইরান মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের উৎস। আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে ইসরায়েলের পাশে।”
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স: সংযত, শান্তিপ্রচেষ্টার আহ্বান।
রাশিয়া:
“ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনায় প্রমাণ নেই—এগুলো পশ্চিমাদের ভিত্তিহীন গুজব।”
চীন: শান্তির আহ্বান করে সঙ্ঘাতশুন্য কূটনীতির পথ সুপারিশ। news.un.org+10reddit.com+10app.com.pk+10
গুতেরেস:
“এই সংঘাত বেড়ে গেলে তা আর নিয়ন্ত্রণযোগ্য থাকবে না।” lemonde.fr+15reuters.com+15press.un.org+15
আইএইএ: ইরান ইউরেনিয়াম এমন মাত্রায় সমৃদ্ধ করছে যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির অনুকূল। তবে সরাসরি অস্ত্র তৈরি হচ্ছে—এটা বলা হয়নি।
এ বৈঠক প্রতিফলিত করেছে নিরাপত্তা পরিষদের ভেতরে থাকা মুলুকভিত্তিক দ্বিখণ্ডন:
পশ্চিমা ও ইসরায়েল সশস্ত্র হুমকি হিসেবে ইরানকে দেখছে,
রাশিয়া ও চীন শান্তি ও রাজনৈতিক সমাধানে জোর দিচ্ছে,
ইরান নিজেকে আত্মরক্ষায় বললেও অনেকে এটিকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
কিন্তু পরিষদ কোন যৌথ বিবৃতি বা কার্যকর পদক্ষেপে পৌঁছতে পারেনি — এটা স্পষ্ট করেছে ভিভিন্ন রাজনৈতিক লাভলেভেলের সীমাবদ্ধতাকে।
#UNSC #IsraelIranConflict #UNDebate #PeaceAppeal #Guterres #IAEA #US #Russia #China #France #Diplomacy