ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের সামনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হলে মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আগুন। ঠিক সেই সময় শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী স্কুল ছুটির পর শিশু শিক্ষার্থীদের গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছিলেন।
অগ্নিকাণ্ড শুরু হওয়ার পরপরই তিনি নিজের জীবন না ভেবে শিশুদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। একাই ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীকে আগুনের ভেতর থেকে বের করে আনেন। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতেই মৃত্যুবরণ করেন এই জীবনদায়ী শিক্ষিকা।
মেহেরীন চৌধুরী ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কো-অর্ডিনেটর। তার ভাই মুনাফ মুজিব চৌধুরী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন:
“আমার বড় বোন, যিনি আমাকে মায়ের মতো করে বড় করেছেন—তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগেও যতজন শিশুকে পারতেন, বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।”
স্বামী মনসুর হেলাল জানান,
“মেহেরীন বলেন, ‘স্কুল ছুটির পর বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছিলাম, তখনই গেটের সামনে বিমান বিধ্বস্ত হয়। আমি দগ্ধ হলেও বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করি।’”
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছোঁয়ার মামা বলেন,
“উনি না থাকলে ছোঁয়া বাঁচতো না। এক শিক্ষিকা তাকে আগুনের মাঝ থেকে বের করে দিয়েছেন।”
এক অভিভাবক বলেন,
“সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—এই শিক্ষিকার কারণে অন্তত ২০টি শিশু প্রাণে বেঁচেছে। এমন শিক্ষক সমাজে খুব কমই পাওয়া যায়।”
#মেহেরীন_চৌধুরী #নাইবা_বীর_শিক্ষিকা #মাইলস্টোন #উত্তরা_বিমান_দুর্ঘটনা #শিক্ষক_শ্রদ্ধা #সাহসিকতা #হিরোইন_টিচার #বাংলাদেশ_সংবাদ #LifeSaverTeacher #HeroTeacherBD