ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫
‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনা
অভিযুক্ত আরও দুইজন: আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন
অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে জমা, শুনানি সরাসরি সম্প্রচারিত
বিচারকাজ ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন
ঢাকা:
বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
রোববার (১ জুন) দুপুর ১২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে শুনানির দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যা দেশের বিচার ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১. শেখ হাসিনা – সাবেক প্রধানমন্ত্রী (প্রধান অভিযুক্ত)
২. আসাদুজ্জামান খান কামাল – তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩. চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন – সাবেক আইজিপি
তিনজনের বিরুদ্ধেই গণহত্যা, গুম, পরিকল্পিত নিধন এবং রাষ্ট্রীয় শক্তি অপব্যবহারের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘মূল নির্দেশদাতা’ হিসেবে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়। ১২ মে তারা তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়।
তাজুল ইসলাম বলেন:
“শেখ হাসিনা ছিলেন গুম এবং আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস। এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে তার প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ছিল। আমরা বিচারের মাধ্যমে দায়সারা করব না – প্রমাণের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ বিচার হবে।”
এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোনো অভিযোগপত্র দাখিলের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বিচারকরা জানিয়েছেন, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন,
“ডিসেম্বরের মধ্যেই জুলাই-আগস্টে সংঘটিত এই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হবে। আমরা এমন বিচার নিশ্চিত করব, যাতে কারো পক্ষে বিচার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সম্ভব না হয়।”
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে সারা দেশে সংঘটিত সহিংসতা ও নিধনযজ্ঞে শত শত সাধারণ নাগরিক, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী এবং নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারান। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময় গণহত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
তদন্ত সংস্থার দাবি, এসব অপারেশনের পেছনে ছিল একটি “রাজনৈতিক নিধন পরিকল্পনা”, যার মূল নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা।
#SheikhHasina
#JulyGenocide
#InternationalCrimesTribunal
#WarCrimesBangladesh
#AsaduzzamanKhan
#AbdullahAlMamun
#HumanRights
#Justice
#BDPolitics
#ICTBangladesh
#LiveHearing