ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫
তিনি বলেন, “পাট শুধু একটি কৃষিপণ্য নয়, এটি আমাদের আবেগ, আমাদের অতীত গৌরব, এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতীক। সময় এসেছে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর।”
রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত বাংলাদেশ-চীন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“আমরা পাটকে আজও কেবল বস্তা তৈরির কাঁচামাল হিসেবে দেখি। অথচ এটি এমন একটি প্রাকৃতিক তন্তু, যা পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই তন্তু বাংলাদেশ যুগের পর যুগ উৎপাদন করে আসছে, কিন্তু আমরা এর বহুমুখী ব্যবহারের সুযোগকে অবহেলা করেছি। এখন সেই ক্ষতি পূরণে সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার।”
বাংলাদেশের জামদানি, মসলিন ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূস বলেন,
“আমরা একসঙ্গে পাটকে তার প্রকৃত মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে পারি। ঢাকাই মসলিনের মতো পাটও একসময় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে গৌরব এনে দিতে পারে।”
তিনি এটিকে শুধু কৃষিশিল্প নয়, বরং একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসেবে দেখার আহ্বান জানান।
চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে প্রায় ২৫০ জন চীনা ব্যবসায়ী, প্রতিনিধিত্ব করছে ১০০টির বেশি কোম্পানি। সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
ওয়াং ওয়েনতাও, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী
ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
সঞ্চালনায় ছিলেন চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান
🗣️ “পাটের কথা বললে, সেটি বাংলাদেশের আত্মার কথা বলা হয়।”
🗣️ “এটি এমন এক সম্পদ, যার মাধ্যমে আমরা দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করতে পারি।”
🗣️ “চীনসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে এই খাতে প্রযুক্তি ও পুঁজি বিনিয়োগের দারুণ সুযোগ রয়েছে।”
#পাটশিল্প
#বাংলাদেশ_অর্থনীতি
#ড_ইউনূস
#চীন_বাংলাদেশ_সম্পর্ক
#বিনিয়োগ_সম্মেলন
#ঢাকাই_মসলিন
#জামদানি
#প্রাকৃতিক_তন্তু
#টেকসই_উন্নয়ন