ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। এর ফলে দলটির নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত নিবন্ধন বৈধ বলে বিবেচিত হবে, যা দলটির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে ফিরে আসার পথ খুলে দিল।
আজ রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগ জামায়াতের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জামায়াতের প্রধান আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন,
“এই রায়ের ফলে জামায়াতে ইসলামী আবার বৈধভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে পারবে এবং নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বৈধ বলে গণ্য হবে।”
২০০৮: জামায়াতে ইসলামীর সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন
২০০৯: তরিকত ফেডারেশন ও অন্যান্য ইসলামি দল হাইকোর্টে রিট করে
২০১৩: হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে
২০১3–2023: বিভিন্ন সময় আপিল ও আইনগত লড়াই অব্যাহত থাকে
২০২3: আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল খারিজ করে
২০২৫: চূড়ান্ত আপিল গ্রহণ করে নিবন্ধন বৈধতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে আদালত
২০০৯–২০১২ সময়কালে জামায়াতে ইসলামী একাধিকবার তাদের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। দলের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়। এ বিষয়ে দলটি দাবি করে, তারা নির্বাচন কমিশনের সকল নির্দেশনা মেনেছে।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের পর থেকে জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। তবে তারা রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করেনি। ২০২৩ সালের গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, তখন জামায়াতের ওপর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আবেদনের বাতিলের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন,
“এই রায় দেশে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে একটি বড় পদক্ষেপ। জামায়াত রাজনীতির মাঠে ফিরছে।”
জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা নিশ্চিত হল
এটি দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে
বহু বছর ধরে বিতর্কিত থাকা দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে
#JamaatRegainsRegistration
#BangladeshPolitics
#SupremeCourtVerdict
#Nirbachon2025
#আইন_ও_বিচার
#জামায়াত
#নিবন্ধন_বৈধ
#আদালতের_রায়
#রাজনৈতিক_পুনর্বাসন