ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
🗣️ "এই বক্তব্য প্রতিশোধের চোরাবালিতে আরেকটি আঘাত" — বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
রিজভীর অভিযোগ, “যেভাবে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে কফিন পরিয়ে উন্নয়নের ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, উপদেষ্টার এই মন্তব্য যেন তারই প্রতিচ্ছবি।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান এখনো মানুষের হৃদয়ে প্রজ্জ্বলিত। তাই তার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে মরিয়া হয়ে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে শাসকচক্র।”
ড. খলিলুর রহমান তার যুক্তরাজ্য নির্বাসনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারেক রহমানের অবস্থানকে তুলনা করে বলেন, “আমি যদি আমেরিকায় থাকি, তবে আমাকেও বিদেশি বলা উচিত।”
এ বক্তব্যকে রিজভী “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর” উল্লেখ করে বলেন, “যারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে এমন মন্তব্য করেন, তারা আত্মগরিমায় অন্ধ।”
তারেক রহমান কেন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রিজভী বলেন, “তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি।”
তিনি আইনগত দিক থেকে যুক্তরাজ্যে তার অবস্থান বৈধ বলে উল্লেখ করেন, ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী তার অবস্থানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে দাবি করেন।
রিজভীর সরাসরি প্রশ্ন— "যে ব্যক্তি বিতর্কিত এবং বিদেশিদের করিডোর চ্যানেল হস্তান্তরের ষড়যন্ত্রের কুশীলব, তিনি কীভাবে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হন?"
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আর এই সরকার তার চরিত্র হননের অপচেষ্টায় ব্যস্ত।”
রিজভী বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি এমন একজন ব্যক্তিকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন, যার দেশের জন্য কোনো দৃশ্যমান অবদান নেই। তিনি যুদ্ধকরিডোর বানানোর পরিকল্পনা করছেন। আমরা তা হতে দেবো না।”
বিএনপির দাবি—
🔻 ড. খলিলুর রহমানকে অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে
🔻 দেশে ও বিদেশে তার কার্যকলাপ ও অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জনগণের সামনে আনতে হবে