ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫
আপডেট : ২১ মে ২০২৫
তিনি বলেন, “আপনাদের পদত্যাগই হবে সঠিক পদক্ষেপ এবং তা রাজনৈতিক বিতর্কের অবসান ঘটাবে।”
আজ বুধবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে ইশরাক হোসেন লেখেন—
“যেহেতু এটা প্রতীয়মান যে আপনারা রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং হয়তো ভবিষ্যতে সরাসরি যুক্ত হবেন, এমনকি নির্বাচন করবেন, সেক্ষেত্রে পদত্যাগের দাবি কি অযৌক্তিক? বরং এটি একটি সঠিক ও নৈতিক সিদ্ধান্ত হবে।”
তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা সংবিধান ও নৈতিকতার পরিপন্থী। “ক্ষমতায় থাকতে গেলে পক্ষপাত এড়ানো সম্ভব নয়। আপনারা যদি এখনই রাজনীতিতে যোগ দেন, তবেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন।”
ইশরাক তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন—
“আপনাদেরই নাহিদ ইসলাম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি চাইলে কিছুদিন উপদেষ্টা থাকতে পারতেন, কিন্তু নৈতিক অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন।”
তিনি অতীতে রাজনীতি করতে গিয়ে যারা মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেছেন, তাদের উদাহরণ তুলে ধরেন, “একসময় সার্জিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহরাও মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে দলগঠনে মন দিয়েছেন।”
ইশরাক হোসেন বলেন, “ক্ষমতায় থাকলে নিজের দলের লোকজনকে সুবিধা দিতেই হয়। শতভাগ নিরপেক্ষ থাকা বাস্তবসম্মত নয়। কাঁঠাল ভাঙবে আপনাদের মাথায়, খাবে কিন্তু অন্যরা।”
তিনি বলেন, “আপনারা পদত্যাগ করলে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ইমেজই আরও শক্তিশালী হবে।”
ইশরাক হোসেন নিজের অতীত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে লেখেন—
“আমিও আন্দোলনে অংশ নিয়ে, মেয়র পদে থাকার কারণে সমালোচিত হয়েছি। কিন্তু জনগণকে বোঝাতে হয়েছে কারা ভুল পথে পরিচালিত করছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ পথ বেছে নিয়েছিলাম দেশের স্বার্থে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতেও আগের মতোই বন্দোবস্ত চলছে। শুধু আরও পাকাপোক্তভাবে তা অনুসরণ করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে, আপনারা উপদেষ্টার পদে থেকে কী পরিবর্তন আনবেন?”
শেষে ইশরাক বলেন—
“আপনাদের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারাই বা কেন থাকতে চাচ্ছেন? গণতন্ত্র, নিরপেক্ষতা এবং জনগণের আস্থার স্বার্থে সরে দাঁড়ানোই হবে আপনাদের জন্য সম্মানজনক পথ।”
📎 তথ্যসূত্র: ইশরাক হোসেনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্ট