ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
এ নোটিশ ইশরাকের পক্ষে পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এহসানুর রহমান।
খোকন বলেছেন,
“হাইকোর্টের রায়ের পরও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পাড়ালে, সেটা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে। আদালত মামলাটি খারিজ করায় শপথ নেওয়ার পথে আর কোনো বাধা নেই। আগামী ২৬ মে এর মধ্যে শপথ করানো আবশ্যক।”
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ১৯ মে একটি ফেসবুক পোস্টে আইনি জটিলতার কারণে শপথ না পড়ানোর কারণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
“বিএনপির আন্দোলনের যৌক্তিকতা না থাকলেও তারা গায়ের জোরে নগরভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে। কিছু মহল শপথ বন্ধ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস রাখবে বলে আশা করছি।”
ফেসবুক পোস্টে উল্লেখিত মূল পয়েন্টগুলো হলো:
হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছে
নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশ নেনি ও আপিলও করেনি
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়ে গেজেট প্রকাশ
স্থানীয় সরকার বিভাগ মামলায় বিবাদী নয়
শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রিট মামলা বিচারাধীন
খারিজ হওয়া বরিশাল সিটি করপোরেশন মামলায় দ্বিমুখী অবস্থান ট্রাইব্যুনালের
মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে
বিতর্কিত রায় ও বিচারাধীন রিটের কারণে আইনি জটিলতা বিদ্যমান
জটিলতা নিরসনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে
আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচন বৈধ করার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে
বৈধতা ও আইনি জটিলতা সত্ত্বেও, হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী ২৬ মে’র মধ্যে ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর দাবি প্রবল হচ্ছে। এর পর শপথ গ্রহণ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ গুরুত্ব পাচ্ছে।