ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার দুপুরে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ওঠে। এর ফলে বরগুনা সদরের বড়ইতলা এবং আমতলীর চরাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি হয়েছে। এসব অঞ্চলে বসতঘর, রান্নাঘরসহ সমস্ত আবাসস্থল ডুবে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন,
"বুধবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছিল, তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারে পুরো গ্রামটাই ডুবে গেল। এমন পানি গত কয়েক বছরে দেখিনি।"
বাইনচটকি-বড়ইতলা ও আমতলী-পুরাকাটা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা-বরগুনা রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন,
"নদী ও খালের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়েছে। নদীপাড়ের মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।"
জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আলম জানান,
"পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে এবং মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে।"
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়দের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে এমন জলাবদ্ধতা ও দুর্যোগ এখন নিয়মিত চিত্র হয়ে উঠছে। তাঁরা মনে করেন, দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করাই এখন সময়ের দাবি।
📌 সংক্ষেপে:
নিম্নচাপ ও অমাবস্যাজনিত জোয়ারে বরগুনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
দেড় হাজারের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত
ফেরিঘাট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ
প্রশাসনের নজরদারি ও আশ্রয় প্রস্তুতি