আরিফুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫
নার্স ও আয়া দিয়ে সন্তান প্রসব করানোর পর শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া পর্যন্ত সময়ক্ষেপণ হয়, যার ফলেই মৃত্যু ঘটে বলে দাবি স্বজনদের।
ভুক্তভোগী: জাহানারা খাতুন (৩১), স্ত্রী—ফয়সাল খান, দক্ষিণ লালপুর
হাসপাতাল: পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল, লালপুর
তারিখ: ভর্তি—১৯ জুন বিকাল ৪টা, মৃত্যু—২০ জুন সকাল
স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী:
১৯ জুন বিকালে জাহানারা খাতুনকে ভর্তি করা হয় ডা. ফারজানা ইসলাম বিভার অধীনে।
রাত পৌনে ৯টায় প্রসব ব্যথা শুরু হলে নার্স ও আয়া প্রসব করানোর চেষ্টা করেন।
রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক অনুপস্থিত অবস্থায় সন্তান প্রসব করানো হয়।
প্রসবের পর নবজাতকের গলা, মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত দেখা যায়।
রাজশাহীতে রেফার করার পর, ২০ জুন সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়।
স্বজনদের ভাষ্য:
“নার্স ও আয়ার ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতক গুরুতর জখম হয় এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায়। চিকিৎসক থাকলে হয়তো বাচ্চাকে বাঁচানো যেত।”
ঘটনার পর রবিবার (২২ জুন) রাতে লালপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুজ্জামান বলেন:
“অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ডা. ফারজানা ইসলামের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
#নাটোরনিউজ #লালপুর #নবজাতকমৃত্যু #চিকিৎসকেরঅবহেলা #হাসপাতালজবাবদিহিতা #পদ্মাহাসপাতাল #HealthcareNegligence #MedicalMalpractice #নবজাতকেরমৃত্যু #BangladeshHealth