ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫
রবিবার (২২ জুন), ঢাকার শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান সংস্থাটির রোড সেফটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী শারমিন রহমান। সভার শিরোনাম ছিল ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন সকলের জন্য প্রয়োজন’।
শারমিন রহমান তার উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশ সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৩টি দেশের মধ্যে ১০৬তম স্থানে রয়েছে (সূত্র: ওয়ার্ল্ড হেলথ র্যাঙ্কিং)। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সঠিক আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ ছাড়া রোডক্র্যাশ কমানো সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন:
“সড়ক নিরাপত্তা আইন শুধু পরিবহন নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, বরং পথচারী ও সাধারণ সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।”
সভা সঞ্চালনা করেন: দৈনিক মানবজমিন-এর সিনিয়র সাংবাদিক শুভ্র দেব।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন:
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক, শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (SCRF) ও UNB-এর বিশেষ প্রতিনিধি
জামিউল আহ্ছান শিপু, সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাক
ইমন রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক (ক্রাইম), দৈনিক যুগান্তর
বক্তারা বলেন:
বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং বিধিমালা-২০২২ কেবল পরিবহন খাতকেন্দ্রিক। এতে সড়ক অবকাঠামো, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা, এবং দুর্ঘটনার পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপেক্ষিত।
১. বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা
২. নিরাপদ যানবাহন
৩. নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো
৪. নিরাপদ সড়ক ব্যবহার
৫. রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ
মোখলেছুর রহমান, উপ-পরিচালক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন (স্বাস্থ্য সেক্টর), বলেন:
“এই ৫টি দিক বিবেচনায় এনে একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। আইন না থাকলে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে থাকবে।”
#RoadSafety #BangladeshRoadAccident #WHO #DhakaAhsaniaMission #সড়কনিরাপত্তা #রোডক্র্যাশ #নতুনআইন #SafeRoadsBD #SDG2030 #UNRoadSafety