ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
ভারতের গণমাধ্যম ‘দ্য ওয়াল’-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাদের এই গভীর প্রতিকূল মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন।
সেই ভয়াবহ দিনে সংসদ এলাকায় শুরু হওয়া মিছিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন কেন্দ্রিক ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি খুবই ভাগ্যবান, সেদিন আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। মৃত্যু থেকে অনেক কাছে ছিলাম।”
ওবায়দুল কাদের আরও জানান, তার নিজের বাসায় হামলার পর আশ্রয় নিয়েছিলেন পাশের আরেকটি বাসায়, যেখানে মিছিলকারীরা হামলা চালায়। তিনি ও তার স্ত্রী প্রায় ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন। হামলাকারীরা বাথরুমের ভিতরে থাকা বেসিন ও কমোড পর্যন্ত লুটপাট করে।
“আমার স্ত্রী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, বারবার বলছিলেন আমি অসুস্থ, যাতে তারা প্রবেশ না করে,” উল্লেখ করে কাদের বলেন, “তবে তারা জোরপূর্বক ঢুকতে চাইছিল। শেষ পর্যন্ত আমি দরজা খুলে দিলাম।”
হঠাৎ যুবকরা আচরণ পরিবর্তন করে কাদেরের সঙ্গে ছবি তুলতে শুরু করে, কেউ সেলফিও নেয়। কাদের বলেন, “তারা হয়তো আমাকে চিনতো, আচরণ কেন বদলালো বুঝতে পারিনি।”
সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাদের মধ্যে কয়েকজন তাকে রাস্তার পাশে আনলেন, যেখানে হঠাৎ করে এক খালি ট্যাক্সি বা ইজি বাইক এসে হাজির হয়। দুই যুবক তাকে ও তার স্ত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এবং চেকপোস্টের সামনে ‘চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি’ বলে পারাপার করে।
“সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। এটা ছিল পরম সৌভাগ্যের বিষয়,” কাদের সংযোজন করেন।