ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন আজহার।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে:
দুই, তিন ও চার নম্বর অভিযোগে তাকে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
পাঁচ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর
ছয় নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়
২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে, তবে পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। পরে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তিনি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন।
এতে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। শুনানি শেষে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপিল বিভাগ আজহারকে আপাতত আপিলের অনুমতি দেয়। এরপর তিনি চূড়ান্ত আপিল করেন।
আপিলের প্রথম দিনের শুনানি হয় ৬ মে
দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ৮ মে
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করা হয়
আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন,
“আমরা যুক্তিতর্কে দেখিয়েছি যে এই মামলায় আইন ও প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি খালাস পাওয়ার যোগ্য।”
এই রায় শুধু এটিএম আজহারের ব্যক্তিগত ভাগ্যের প্রশ্ন নয়, বরং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ রায়ের মাধ্যমে:
যুদ্ধাপরাধ বিচার কাঠামোর ওপর জনগণের আস্থা কতটা বজায় থাকে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি কীভাবে দেখবে
জামায়াতের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান কতটা প্রভাবিত হবে
তা নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে।
রায়ের দিন মঙ্গলবার (২৭ মে), আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন।