ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
এই হুঁশিয়ারি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন:
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে,
সেই রায়ের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভে হামলা হয় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে,
এবং এসব হামলার পেছনে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন:
“দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং... কাউকে কোনো ছাড়ও দেওয়া হবে না—ব্যক্তি তিনি যে–ই হোন না কেন।”
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন:
“সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।”
এই বার্তায় পরিষ্কার:
জামায়াত নেতৃত্ব চাপে আছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক হামলার অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ঝুঁকিতে পড়েছে,
তারা চাইছে কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে,
একই সঙ্গে, তারা এমন সংকেতও দিচ্ছে যে দায়িত্বহীন বা স্বেচ্ছাচারী আচরণ দল সহ্য করবে না।
১. ভবিষ্যতে জামায়াতপন্থী কর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ বাড়তে পারে।
২. আইনি ও রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলায় জামায়াত নিজেদের ‘দায়মুক্ত’ রাখতে চায়।
৩. এই বার্তা দলের ভেতরের অভ্যন্তরীণ বিভাজনেরও ইঙ্গিত দিতে পারে, বিশেষ করে তৃণমূল কর্মীদের ‘স্বতন্ত্র’ পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় অসন্তোষ থাকলে।
#জামায়াত #শৃঙ্খলা #রাজনীতি #বাংলাদেশ_রাজনীতি