ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
তিনি বলেন:
“আপনি যদি বলেন খাওয়া আগে, না কাপড় পরা আগে—এটা কি যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন? সরকার অনেক দায়িত্বে থাকে। আপনি যদি বলেন, ‘নির্বাচন আগে না ঘরে বিদ্যুৎ আগে’— এই ধরণের প্রশ্ন সরকারের দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
তিনি সরাসরি ইঙ্গিত করেন, কিছু “অভিজ্ঞতাহীন তরুণ” এনসিপির পক্ষে দাঁড়িয়ে অবাস্তব ও বিভ্রান্তিকর দাবি করছে।
“আপনি যদি বলেন নির্বাচিত সরকার বিচার করবে না, তাহলে আপনি জনগণের ওপরই আস্থা রাখছেন না। ১৮ কোটি মানুষ কাকে ভোট দেবে, সেটাকেও অবজ্ঞা করছেন।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন:
“যেই মুহূর্তে আপনি জনগণের ওপর আস্থা রাখছেন না, সেই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আপনার নেই।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, যেসব ব্যক্তি রাজনীতি, প্রশাসন বা বিচারব্যবস্থা না বুঝেই বড় বড় বক্তব্য দিচ্ছেন, তারা জনগণের হয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন না। তিনি এনসিপিকে ভোটের মাঠে এসে জনগণের আস্থা অর্জন করতে বলেন:
“এই অধিকার অর্জন করতে চাইলে ভোট দেন, ভোট করে আসেন। তখন আপনি বলবেন, আমরা চুপ করে শুনবো।”
এই মন্তব্য সরাসরি এনসিপি’র সাম্প্রতিক অবস্থানের প্রতি কটাক্ষ। এনসিপির অনেক নেতা “নির্বাচন নয়, বিচার আগে” বা “গণতন্ত্রের কাঠামো তৈরি ছাড়া নির্বাচনের মানে নেই” এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন। ববি হাজ্জাজ এসব দাবিকে বাস্তবতাবর্জিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করছেন।
তিনি স্পষ্ট করতে চেয়েছেন—গণতন্ত্রের মৌল ভিত্তি হলো ভোটাধিকার, এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। বিকল্প কোনো প্রক্রিয়ায় “বিচার বা সংস্কার” সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।
এটা এখন স্পষ্ট, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন এক আদর্শিক সংঘাত তৈরি হচ্ছে—একদিকে সংস্কার ও বিচার-প্রথম ধারা, অন্যদিকে নির্বাচন ও গণআস্থা-ভিত্তিক রাজনীতি।
🔍 আপনার মতে, কোনটি আগে হওয়া উচিত—নির্বাচন, না কাঠামোগত বিচার ও সংস্কার?
✍️ মতামত জানাতে পারেন।
#নির্বাচন২০২৫ #ববি_হাজ্জাজ #এনসিপি #গণতন্ত্র #বাংলাদেশ_রাজনীতি