ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা সংকটকে তিনি শুধু আন্তর্জাতিক ইস্যু নয়, “বাংলাদেশের জীবন্ত বাস্তবতা” বলেও উল্লেখ করেছেন।
“আজ বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস। আমরা সারা বিশ্বের কয়েক লক্ষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশের জন্য এটা শুধু বৈশ্বিক বিষয় নয়, এটা আমাদের জীবন্ত বাস্তবতা।”
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কক্সবাজারে ১.৪ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে, যা একটি মানবিক প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। তবে সংকট দিন দিন “বিপজ্জনকভাবে অস্থিতিশীল” হয়ে উঠছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
“আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন এবং মিয়ানমারের উপর টেকসই আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করুন, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়।”
তারেক রহমান বলেন, এ সংকট নিরসনে কেবল বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও সমন্বিত ভূমিকা দরকার।
“আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিশ্চিত করতে হবে যে, সব পক্ষ এই কাজের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। কারণ, রোহিঙ্গা সংকটের শেষ এখনো অনেক দূরে।”
তার পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন,
“আসুন আমরা শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও মেনে চলার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার নবায়ন করি, যাতে দেশে ফেরার সময় কোনো উদ্বাস্তু পিছিয়ে না থাকে।”
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি, বরং সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের দাবি, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও এ বোঝা দীর্ঘমেয়াদে সহ্য করা সম্ভব নয়।