ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং রাষ্ট্রকে গুম বন্ধে জোরালো ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, “আর কোনো ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হন, সেজন্য রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। গুমের মতো অমানবিক ও বর্বর ঘটনা আর যেন কখনও না ঘটে, সে বিষয়ে সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।”
তিনি দাবি করেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। তবে তার মতে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
“অনেক পরিবার আতঙ্কের কারণে গুমের ঘটনা রিপোর্টও করতে পারেনি,” বলেন তিনি। “গুম হওয়াদের অনেকে আজও নিখোঁজ, অনেকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, আবার কেউ কেউ দীর্ঘ সময় পর ‘গ্রেপ্তার’ দেখানো হয়েছে—এটি সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের প্রতিফলন।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, গুমের শিকারদের বড় একটি অংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী। তবে শুধু রাজনীতিকই নয়, দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধান অনুযায়ী, গুম একটি মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ। গুমের সংস্কৃতি বহাল থাকা মানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
বিশ্বজুড়ে গুমবিরোধী সচেতনতা বাড়লেও বাংলাদেশে এ বিষয়ে এখনও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, “এই সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের পাশাপাশি দেশের সচেতন নাগরিকদেরও সক্রিয় হতে হবে।”
📌 আপনার মতামত জানান: গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আপনি কী ভাবেন? মতামত দিন আমাদের সামাজিকমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে।