ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫
আপডেট : ২২ মে ২০২৫
বুধবার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "গাজা পুরোপুরি দখল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হবে না।"
এই ঘোষণায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শুধুমাত্র অস্থায়ী ভিত্তিতে, বন্দি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে বিবেচ্য হতে পারে, কিন্তু কোনো স্থায়ী চুক্তি বা রাজনৈতিক সমঝোতার দিকে ইসরায়েল যাচ্ছে না।
গাজার ওপর ইসরায়েলি হামলা সম্প্রতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্সের মতো মিত্র দেশগুলোর সমর্থন দুর্বল হচ্ছে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৩,৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু।
ত্রাণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত, স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়া, ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে গাজা একটি মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
হামাস বারবার জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করে ও সেনা প্রত্যাহার করে, তাহলে তারা বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু নেতানিয়াহু তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলছেন—“উদ্দেশ্য হলো হামাসকে নির্মূল করা ও গাজাকে নিরাপদ করা।”
নেতানিয়াহুর নিজের দেশেও এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।
ইয়ার লাপিদ, বিরোধী নেতা বলেন: “নেতানিয়াহুর লক্ষ্য রাজনৈতিক সুবিধা, যুদ্ধের অবসান নয়।”
ইয়াইর গোলান, ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা বলেন: “নেতানিয়াহু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন।”
বন্দিদের পরিবারের ফোরাম বলেছে: “আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের সুযোগ হারাতে চলেছি।”
ইসরায়েলে এখনও ১০,১০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে বিচার ছাড়াই বন্দি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।