ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫
জোহরান একাধারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, মুসলিম ও অশ্বেতাঙ্গ। আফ্রিকার উগান্ডার কাম্পালায় জন্ম হলেও মাত্র সাত বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে নিউইয়র্কে পাড়ি জমান। তাঁর বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং মা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি।
রাজনৈতিক এজেন্ডায় তিনি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, স্বল্পমূল্যের মুদিদোকান, দুই লাখ নতুন ভাড়ানিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, চার বছর ভাড়া বৃদ্ধি না করার প্রতিশ্রুতি, শিশুদের বিনামূল্যে ডে-কেয়ার ও গণপরিবহনে বিনামূল্যে ভাড়া চালুর পরিকল্পনা নিয়ে প্রচারণায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) মধ্যরাতে দেওয়া এক আবেগঘন ভাষণে তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার চালানো বাংলাদেশি নারীদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। “বাংলাদেশি আন্টিরা আমার হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে শ্রম দিয়েছেন, আমি তার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ,” বলেন তিনি।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কাউন্সিলর শাহানা হানিফও তার প্রচারণায় পাশে ছিলেন এবং সম্প্রতি বাংলায় দেওয়া ভিডিও বার্তায় অভিবাসী কমিউনিটির কাছে ভোট চান।
জোহরানের বড় সাফল্য হলো সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর মতো শক্তিশালী প্রার্থীকে হারিয়ে মনোনয়ন পাওয়া। তাঁর এই জয় তরুণ, অভিবাসী ও মুসলিম প্রার্থীদের জন্য বড় উদাহরণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
জোহরানের রাজনৈতিক ভাবমূর্তিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ এবং সামাজিক সহানুভূতি ও অন্তর্ভুক্তির বার্তা এক বিশেষত্ব। তিনি নিউইয়র্কের বহুজাতিক, বহু-ভাষিক ও বহু-সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের সমর্থন পাচ্ছেন।
৫ মাস পরের নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, জোহরান ইতোমধ্যেই এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
#জোহরানমামদানি #নিউইয়র্কমেয়র #বাংলাদেশি #অভিবাসী #রাজনীতি #মেয়রনির্বাচন #ডেমোক্রেটিকপার্টি #শাহানাহানিফ #নিউইয়র্ক