ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
"নির্বাচনসামগ্রী ক্রয়ের ব্যাপারে আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। একটি টেন্ডার রি-টেন্ডার হবে। আমাদের লক্ষ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন করা,"— বলেন সচিব।
ইসি সচিব জানান,
“নির্বাচনের প্রস্তুতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি নির্দিষ্ট কোনো টাইমলাইনে ফিট করানো উচিত নয়।”
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়গুলোও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইসি সচিব জানান, ভোটার তালিকা আইনে সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী:
নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা যৌক্তিকভাবে ইসি নির্ধারণ করবে।
এর মানে, নির্বাচন তফসিলের ঘোষণার আগ পর্যন্ত ইসি নির্দিষ্ট করে দেবে কে ভোটার হতে পারবেন।
বর্তমান আইনে, খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে ২ জানুয়ারি এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে ২ মার্চ ২০২৬—তবে তার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আইন সংশোধিত হলে এই জটিলতা থাকবে না।
ইসি সচিব জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণে এখন পর্যন্ত ৭৬টি আবেদন পাওয়া গেছে।
একই আসনে সীমানা সংক্রান্ত একাধিক মতামতও জমা পড়েছে। এসব আবেদন এখন জনসংখ্যা, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও প্রশাসনিক সীমানা বিবেচনায় যাচাই-বাছাই চলছে।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরো ৩০০টি আসনের সীমানা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ১৪৭টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এর মধ্যে তিনটি দল দ্বিবার আবেদন করেছে।
ইসি সচিব জানান,
“প্রাথমিক বাছাই চলছে। পাশাপাশি প্রতীকের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে।”
তবে নতুন প্রতীক কী কী হতে পারে—এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
#নির্বাচন২০২৬ #ইসিসচিব #ভোটারতালিকা #আসনসীমা #রাজনৈতিকদল #ইলেকশনপ্রস্তুতি #আখতারআহমেদ