ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
📍 পটভূমি:
৮ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে রাজনৈতিক চাপ ও গণদাবির মুখে দাঁড়িয়ে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানান,
“তিনি (ইউনূস) মনে করছেন, চলমান বাস্তবতায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।”
১️⃣ ইউনূস পদত্যাগ করলে কী হবে?
আইনজীবীদের মতে, তিনি সরে গেলে রাষ্ট্রপতি নতুন করে সরকার গঠনের পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে উপদেষ্টাদের দায়িত্বপালনের সুযোগ থাকবে কি না—তা নির্ভর করবে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর।
২️⃣ সংবিধান কী বলে?
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়। কিন্তু হাইকোর্ট গত বছর এই সংশোধনীর একটি অংশ বাতিল করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পথ খুলে দেয়।
⚠️ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন:
“এখন আর আইন অনুযায়ী কিছু হচ্ছে না। সব হচ্ছে বাস্তবতা মেনে। আইনের প্রশ্ন এখন অনেকটাই অবান্তর।”
মনজিল মোরসেদ (আইনজীবী):
“ইউনূস পদত্যাগ করলে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকবে না, কারণ তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগপ্রাপ্ত।”
শাহদীন মালিক:
“নতুন সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য জরুরি। যেকোনো ব্যবস্থা হলে সেটিও রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতেই হতে হবে।”
আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নতুন করে নির্বাচন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন আবশ্যক।
সেই সরকারের গঠনে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব থাকতে পারে, অথবা রাষ্ট্রপতি নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন।
📌 নিয়ম অনুযায়ী: নির্বাচনের ৯০ দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বাধ্যতামূলক।
ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো সরকারি পর্যায়ে কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান শুক্রবার বলেন,
“আমাদের দায়িত্ব নির্বাচন ছাড়াও সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু এখন রাস্তায় বসে দাবি আদায়ের প্রতিযোগিতা চলছে।”
📢 সংক্ষিপ্ত উপসংহার:
অধ্যাপক ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তা দেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে। তবে আইনি কাঠামো যতই জটিল হোক, সমাধান আসবে রাজনৈতিক সমঝোতা ও বাস্তবতা ভিত্তিতে—এটাই প্রায় সব বিশ্লেষকের অভিমত।