ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে, লিখিত বক্তব্যে তৈয়্যব বলেন—
“বিটিআরসি ও ডাক বিভাগ একটি নতুন প্রজন্মের টেলিকম লাইসেন্স পলিসি নিয়ে কাজ করছে, যা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) ও জিএসএমএ-র নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে করে পুরনো ও অপ্রচলিত লাইসেন্সগুলো বন্ধ করে নতুন করে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করা হচ্ছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রচারে নেমেছে।”
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ফয়েজ আহমদ দুদকের তদন্তে হস্তক্ষেপ করে ‘ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটার’ পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন:
“ডিও লেটারের মাধ্যমে আমরা দুদকের সহযোগিতা চেয়েছি মাত্র। তদন্ত থামানোর কোনো চেষ্টা হয়নি। বরং ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির স্বার্থেই এটি পাঠানো হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা পরিবর্তন আনছি — সেটাই দুর্নীতিগ্রস্তদের স্বার্থে আঘাত করছে।”
উল্লেখ্য, ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্পে অর্থ ছাড় ও যন্ত্রপাতি ক্রয় নিয়ে বিতর্ক চলছে। সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো ডিও লেটারে তৈয়্যব বলেন:
“প্রকল্পে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের আগে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ফাইভজি উপযোগীতা এবং যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা (কমপক্ষে ১২ বছর) যাচাই করবে। এছাড়া, বিটিসিএলের অন্য প্রকল্পে স্থাপিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিশ্চিত করে ফাইভজি অপ্টিমাইজেশনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
টেলিকম খাতে স্বচ্ছতা, আন্তর্জাতিক মানে লাইসেন্স সংস্কার এবং দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের মাঝে এই সংবাদ সম্মেলন গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজনৈতিক ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি শুধুই প্রযুক্তিগত নয়, বরং এর পেছনে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মহল।
#FaezAhmedTayyeb #TelecomPolicyBD #5GProject #BTRC #ICTBangladesh #ডিওলেটার #দুদক #কমিউনিকেশনমাফিয়া #টেলিকমলাইসেন্স #5GBangladesh