ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫
তবে ভৌগোলিকভাবে জেলা সদরের খুব কাছের উপজেলাগুলোতে নতুন আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই বলেও মত দিয়েছেন নেতারা।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়:
উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান, জেলা সদর থেকে দূরত্ব, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত রয়েছে, সেগুলোকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরের সম্ভাবনা বিবেচনায় নিতে হবে।
প্রয়োজনে একাধিক উপজেলাকে একত্র করে একটি আদালত অধিক্ষেত্রে আনা যেতে পারে।
🔹 বিএনপি নেতা সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন,
"জেলা সদরের নিকটবর্তী উপজেলায় নতুন আদালতের প্রয়োজন নেই। কোথায় প্রয়োজন, তা নিরূপণে সমীক্ষা হওয়া উচিত।"
🔹 জামায়াতের হামিদুর রহমান আজাদ বলেন,
“দুর্নীতি বাড়বে—এই ধারণা ভুল। বরং বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমাতে বিচারিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিতে হবে।”
🔹 এনসিপি’র জাবেদ রাসিন প্রস্তাব করেন,
“সংসদীয় আসনের ভিত্তিতে দ্রুতই উপজেলা আদালত স্থাপন করা উচিত।”
কয়েকটি রাজনৈতিক দল দুর্নীতির শঙ্কা প্রকাশ করলেও, বেশিরভাগই নীতিগতভাবে ধাপে ধাপে সম্প্রসারণে একমত হন।
আলোচনার দ্বিতীয় অংশে জরুরি অবস্থার সংবিধানিক বিধান সংশোধন নিয়েও প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়:
জরুরি অবস্থার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬০ দিন নির্ধারণের প্রস্তাব
নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না
আদালতের অধিকার খর্ব করা যাবে না
কমিশনের মতে, বর্তমানে সংবিধানের ১৪১(ক), ১৪১(খ), ১৪১(গ) অনুচ্ছেদে নাগরিক অধিকার বিপর্যস্ত হয় এবং আদালতের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
#উপজেলা_আদালত #বিচার_সংস্কার #ন্যায়বিচার #জাতীয়_ঐকমত্য_কমিশন #দলীয়_মতামত #জরুরি_অবস্থা #সংবিধান_সংশোধন #নাগরিক_অধিকার #চৌকি_আদালত #উপজেলা_বিচার_ব্যবস্থা