হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
১. আব্দুল খালেক (৪৫) — গ্রাম: মিনাজপুর বানপুর, উপজেলা: জীবননগর
২. নাজমুল হক (২৯) — গ্রাম: বাড়াদি ঈদগাহ পাড়া, উপজেলা: আলমডাঙ্গা
২০১৫ সালের ৮ জুন জীবননগরের মিনাজপুর বানপুরে এক শিশু কন্যাকে ডালিম খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাগানের ঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুল খালেক। শিশুর পিতা পরদিন জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তৎকালীন এসআই আকরাম হোসেন চার্জশিট দাখিল করেন ৩০ জুলাই ২০১৫ সালে।
সাক্ষ্য-প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় একমাত্র আসামি আব্দুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি মীরপাড়ায় এক কিশোরীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন নাজমুল হক। কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়েও বিষয়টি চাপা রাখতে পারেননি তিনি। কয়েক মাস পর মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে এসআই খসরু আলম ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নাজমুল হককেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাগুলোর দায়িত্বে থাকা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহজাহান মুকুল জানান:
“দুটি রায়েই ভুক্তভোগী পরিবার সন্তুষ্ট। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।”
#চুয়াডাঙ্গা #ধর্ষণমামলা #যাবজ্জীবন #নারীওশিশুনির্যাতন #আব্দুল_খালেক #নাজমুল_হক #বাংলাদেশআদালত #ন্যায়বিচার #জাস্টিস২৪