দুর্গেশ সরকার, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫
বুধবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী।
এর আগে মঙ্গলবার প্রথম দিনের অভিযানে ৬৭টি ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুই দিনে মোট ১৪৪টি ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেন:
রতন কুমার অধিকারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মো. কবির হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত), গোয়াইনঘাট থানা
সজল চাকলাদার, আবাসিক প্রকৌশলী, জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ বিভাগ
শহিদুল ইসলাম, ক্যাম্প কমান্ডার, সংগ্রাম বিওপি
পুলিশ ও বিজিবির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ
অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রতন কুমার অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন:
“অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে। কোনো ভাবেই আইন অমান্যকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
জাফলং পাথর কোয়ারি এলাকা বহুদিন ধরেই পরিবেশগত ঝুঁকির মুখে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্রাশার মেশিনগুলো একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করছে, অন্যদিকে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা এবং রাজস্ব হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানে এখন পর্যন্ত একাধিক মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে স্থানীয় পরিবেশ ও অবকাঠামো রক্ষায়।