দুর্গেশ সরকার, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫
ভাঙাচোরা রাস্তা, গভীর গর্ত, কালভার্ট ধসে যাওয়া এবং বৃষ্টিতে হাঁটু সমান পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের চলাচল কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। ঈদের মতো বড় ছুটিতেও বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইয়ে পর্যটক নেই বললেই চলে।
২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয় প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সালুটিকর-তোয়াকুল-বঙ্গবীর-গোয়াইনঘাট সড়কের আরসিসি ঢালাই প্রকল্প। যদিও সরকারি হিসেবে ৫০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলা হলেও, স্থানীয়দের দাবি, তা ৩০% এর বেশি নয়। অনেক জায়গায় ঢালাইকৃত অংশ ভেঙে গেছে, ফাটল ধরেছে—যা প্রকল্পের মান নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল অ্যান্ড এমডিএইচ (জেবি) চুক্তিমূল্যে কাজটি পেলেও বাস্তবে কাজ বাস্তবায়ন করছেন সুনামগঞ্জের ফয়সল নামের একজন উপ-ঠিকাদার। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রকল্প পরিচালক একবারও মাঠ পরিদর্শনে আসেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সালুটিকর বাজারে শনিবার (২০ জুন) বিশাল মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—আগামী ২৪ দিনের মধ্যে কাজ পুরোদমে শুরু না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন তারা।
একজন ব্যবসায়ী বলেন,
“রাস্তা যদি না ঠিক হয়, আমাদের হোটেল-রেস্টুরেন্ট, পরিবহন—সব বন্ধ হয়ে যাবে। পর্যটকেরা আর আসতে চায় না, কারণ এখানে পৌঁছানোই এক ধরনের বিপদ।”
সরকারের পর্যটন অগ্রাধিকার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইয়ের মতো গন্তব্যগুলোতে পৌঁছানোই যদি কষ্টসাধ্য হয়, তাহলে পর্যটন কিভাবে বিকশিত হবে—এ প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ জানিয়েছেন,
“ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। মান বজায় রেখে ধীরে কাজ চলছে। কিছু স্থানে ত্রুটি থাকায় আবার মেরামত করা হচ্ছে।”
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
প্রকল্প বাজেট | ২৯ কোটি টাকা |
শুরু | জানুয়ারি ২০২৪ |
নির্ধারিত সময়সীমা | মে ২০২৫ (বর্ধিত) |
বাস্তব অগ্রগতি | ৩০%-৫০% (বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন দাবি) |
দুর্গত এলাকা | সালুটিকর, তোয়াকুল, বঙ্গবীর, গোয়াইনঘাট |
ক্ষতিগ্রস্ত খাত | পর্যটন, পরিবহন, স্থানীয় অর্থনীতি |
সিলেট পর্যটন
, বিছানাকান্দি
, পান্থুমাই
, গোয়াইনঘাট
, সড়ক উন্নয়ন
, সরকারি প্রকল্প
, মানববন্ধন
, দুর্ভোগ
, পর্যটন মন্দা