ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট থেকে দেশের মানুষ যে নতুন অর্থনৈতিক দিশার আশা করেছিল, তার প্রতিফলন ঘটেনি, বরং “পুরোনো আমলাতান্ত্রিক ও গতানুগতিক কাঠামোরই পুনরাবৃত্তি” হয়েছে।
নতুন চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির অভাব:
অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জনগণের মাঝে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা বাজেটে অনুপস্থিত।
কর্মসংস্থান ও তরুণদের ভবিষ্যৎ:
কর্মসংস্থানের নতুন পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। “যে তরুণেরা অভ্যুত্থান করলেন, তাঁদের সামনে কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।”
আয় বৈষম্য ও কর কাঠামো:
নিম্ন আয়ের মানুষের করসীমা বাড়ানো হয়নি। অথচ মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বাড়ানো হয়েছে, ধনীদের ব্যয় তুলনামূলকভাবে কমেছে। এটি ভয়ংকর বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়।
বিনিয়োগ ও স্থিতিশীলতার সংকট:
সরকার স্থিতিশীলতা আনলেও সেই তুলনায় বিনিয়োগ বাড়ছে না। বাজেটে উৎপাদন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
নীতিগত দিক থেকে বাজেট দুর্বল:
বাজেট শুধু সংখ্যার খেলা নয়, এটি নীতিগত কাঠামো প্রকাশ করে। এই বাজেট কোনো অর্থনৈতিক দর্শন বা রূপান্তরের রূপরেখা দেয় না।
বাজেট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হোক।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক বাজেট শুনানিতে।
যুক্তি ও তর্কের ভিত্তিতে বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হোক।
দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল লিখিত বাজেট বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক কুমার রায়।
এই প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করে যে, অন্তর্বর্তী সরকার থেকে জনগণ ভিন্নধারার দৃষ্টিভঙ্গি ও ন্যায়ের বার্তা আশা করেছিল, কিন্তু বাস্তবে তারা পেয়েছে একটি ঐতিহ্যগত বাজেট, যেখানে সাধারণ মানুষের বাস্তব চাহিদা ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি অনুপস্থিত।