ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
এই অর্থের মাধ্যমে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাঁধ ও অবকাঠামো মেরামত, এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন করা হবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ঋণচুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী
বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন
বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স (B-STRONG) শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত থাকবে:
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়)
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (কৃষি মন্ত্রণালয়)
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ত্রাণ মন্ত্রণালয়)
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (স্থানীয় সরকার বিভাগ)
সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ)
ঋণ প্রদানকারী: বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (IDA)
পরিশোধকাল: ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর
সার্ভিস চার্জ: বার্ষিক ০.৭৫%
সুদের হার: বার্ষিক ১.২৫%
কমিটমেন্ট ফি: অনুত্তোলিত অর্থের ওপর সর্বোচ্চ ০.৫০% (বর্তমানে মওকুফ)
স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন দিয়েছে।
বর্তমানে ৪৭টি চলমান প্রকল্পে ১৩.১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন রয়েছে।
এসব প্রকল্পে রয়েছে অবকাঠামো, জ্বালানি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও সামাজিক উন্নয়ন।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।