ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫
দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দেশের সার্বিক কল্যাণে দোয়া প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিলাদ শেষে জিয়াউর রহমানের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়ীর মণ্ডলবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। দেশবরেণ্য এই নেতার পিতার নাম মনসুর রহমান, মাতা জাহানারা খাতুন। মেধাবী ছাত্র হিসেবে শিক্ষা জীবন শুরু করে, পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে হয়ে ওঠেন এক চৌকস সেনা কর্মকর্তা।
১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এরপর সেনাপ্রধান হয়ে, ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে দেশে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা করেন। ‘১৯ দফা কর্মসূচির’ মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার ডাক দেন তিনি।
তার আমলেই খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করে, যা জাতীয় ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
মাত্র চার বছরের রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
এই হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসবিদরা দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ বলে মনে করেন।
👉 উল্লেখযোগ্য তথ্য:
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, কোরআনখানি, এবং এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ।