বিপ্লর তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫
বিশেষ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা এলাকায় ছোট একটি পাহাড় ধসে পড়েছে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসনের তথ্যে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড় পাদদেশে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে বসবাস করছেন। এর মধ্যে পৌর এলাকার ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাড়ে ৩ হাজারের মতো পরিবার রয়েছেন। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ফলে বা পাদদেশে ঘর তুলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই সব এলাকায় বসবাস করছেন। বর্ষাকালে তাদের আতঙ্ক তীব্র হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন, কদমতলী, কুমিল্লাটিলা, মোল্লাপাড়া, কলাবাগান, নেন্সিবাজার, কৈবল্যপীঠ ও সবুজবাগ। এছাড়া দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার কাছে মানুষ বসবাস করছে।
বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার বিষয়ে সচেতন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, “পাহাড় ধস হলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। তাই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে।”
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, “সতর্কতার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মাঠপর্যায়ে কাজ করছে, মাইকিং চলছে যাতে সবাই দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে।”
বসবাসকারীদের দাবি: তারা সরকারিভাবে পাকা সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা চাইছেন যাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নিরাপদে সরানো সম্ভব হয়।
#খাগড়াছড়ি #পাহাড়িধল #বৃষ্টি #চেঙ্গীনদী #মাইনীনদী #ঝুঁকিপূর্ণবাসস্থান #জেলা প্রশাসন #পুনর্বাসন #আশ্রয়কেন্দ্র #প্রাকৃতিকদুর্যোগ