ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫
কখনো ভাবা যায়? একসময় গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন, আর এখন হতে যাচ্ছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
লি জে-মিয়ং—দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক মুখ, যিনি আজ শুধুই একজন রাজনীতিক নন, বরং হাজারো সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
শৈশবে অর্থকষ্টে পরিবারকে সাহায্য করতে গিয়ে স্কুল ছেড়ে দেন লি। শুরু হয় তার শ্রমজীবনের পথচলা—গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ, যেখানে এক দুর্ঘটনায় কনুই মারাত্মকভাবে জখম হয়।
কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। পরবর্তীতে স্কলারশিপ পেয়ে আইন পড়েন এবং হয়ে ওঠেন একজন সফল আইনজীবী।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে যান লি
২০২4 সালে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েওল সামরিক আইন জারির অভিযোগে অভিশংসিত হন
এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন লি নিজেই
একই বছর এক সমাবেশে লি’র ওপর গলায় ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয়, কিন্তু প্রাণে বেঁচে ফিরে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন
লি তার প্রচারণায় দক্ষিণ কোরিয়াকে এআই প্রযুক্তিতে বিশ্বে শীর্ষ ৩-এ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—সামরিক আইন জারির ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
রিয়েল এস্টেট দুর্নীতি ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে এখনো আদালতে মামলার মুখোমুখি লি
বিরোধী প্রার্থী কিম মুন-সু কটাক্ষ করে বলেন:
“এত বড় দুর্নীতির অভিযোগের পরও কীভাবে আপনি জনসেবার পদে দাঁড়ান?”
লি অবশ্য সব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন।
সিউংনামের মেয়র থাকাকালে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কুকুর মাংস বাজার বন্ধ করেন লি। এরপর গিয়ংগি প্রদেশের গভর্নর হিসেবেও সফল ভূমিকা পালন করেন।
লি বলেন,
“ঠান্ডা রুমে বসে রাস্তায় কাঁপতে থাকা মানুষদের কথা ভাবা যায়। কিন্তু তাদের কষ্ট সত্যিকার অর্থে বুঝতে হলে, নিজেও একসময় সেখানে থাকতে হয়।”
✅ সাধারণ মানুষের মতো অতীত
✅ প্রশাসনিক সাহসিকতা
✅ ন্যায়বিচারের বার্তা
✅ প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
নাম | লি জে-মিয়ং |
পেশা (প্রথম দিক) | গার্মেন্টস শ্রমিক |
বর্তমান অবস্থান | প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শীর্ষপ্রার্থী |
মূল প্রতিদ্বন্দ্বী | কিম মুন-সু |
আলোচিত উদ্যোগ | AI শিল্প, সামরিক আইন বিচারের দাবি, পশু কল্যাণ |
বিতর্ক | দুর্নীতির মামলা, তথ্য গোপনের অভিযোগ |
📢 লি জে-মিয়ংয়ের উত্থান যেন কোরীয় স্বপ্নের প্রতীক। তিনি যদি সত্যিই প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা হবে এক শ্রমিকের রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার বিরল ইতিহাস।