ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫
হুথির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন এবং ইসরায়েলের পক্ষে হামলা চালানো মুসলিম বিশ্বের প্রতি অকৃতজ্ঞতা এবং তাদের ভূমি ও সম্পদের ওপর অবিচারের প্রকাশ। ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, “এটি মুসলিমদের অবিচার এবং লুণ্ঠনকে বৈধতা দেয়।”
অন্যদিকে, হুথির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হেজাম আল-আসাদ সামাজিক মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি সতর্ক করে বলেছেন, “ওয়াশিংটনকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে জানিয়েছিলেন, “আমরা অত্যন্ত সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি” এবং সব বিমান নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছে। ইরানের পক্ষ থেকে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করা হলেও, বলা হয়েছে যে পূর্বেই গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সীমিত হয়েছে।
এই হামলার পর ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা সরাসরি মার্কিন রণতরির ওপর হামলার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি একপ্রকার সংকটাপন্ন অবস্থায় পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি দ্রুত কূটনৈতিকভাবে সমাধান না হলে আরও বড় আঞ্চলিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।