ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত কোনো দেশের মধ্যে এটি হবে প্রথম এমন উদ্যোগ, যা সরাসরি ইসরায়েলি অর্থনৈতিক স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Middle East Eye-এর বরাতে জানা গেছে, ডাবলিন সরকার একটি প্রস্তাবিত আইন প্রস্তুত করেছে, যার মাধ্যমে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিচালিত ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা হবে। আগামী মাসেই (জুন) বিষয়টি নিয়ে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হবে।
আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাইমন হ্যারিস এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন,
“দখলদার শক্তির সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া নৈতিক নয়। আমরা চাচ্ছি, দখলকৃত অঞ্চল থেকে পরিচালিত ইসরায়েলি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের সকল বাণিজ্যিক সম্পর্ক আইনের মাধ্যমে বন্ধ করতে।”
গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসা সংকটের জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছেন হ্যারিস। তিনি বলেন,
“ইসরায়েল খাদ্য ও ওষুধকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এর ফলে শিশুদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের পাঠানো ত্রাণ ৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে রাফা সীমান্তে আটকে আছে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনার পক্ষে থাকলেও আয়ারল্যান্ড এর বাইরেও যেতে চায়।
হ্যারিস বলেন,
“এই পরিস্থিতিতে শুধু চুক্তি পর্যালোচনা যথেষ্ট নয়। সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার। গণহত্যা চালানো একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, আয়ারল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি কূটনৈতিক অবস্থান নয়, বরং এটি একটি নৈতিক অবস্থান। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং গণহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এটি অন্য দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।