বিপ্লর তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
দোকানে দোকানে সাজানো রয়েছে বড় দা, হাড় কাটার বটি, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ও বড় ছুরি। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, বছরের অন্যান্য সময় যেখানে ক্রেতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল, এই সময়টাতেই তারা সারা বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
🛠️ ঈদ মানেই কামারদের উৎসব:
খাগড়াছড়ি বাজারের কামারশালাগুলোতে এখন দিনরাত চলছে দা-ছুরি তৈরির কাজ। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে এবার অনেকেই এনেছেন ডিজাইনে ভিন্নতা ও উন্নত ধারালো ফিনিশিং। কামাররা বলছেন, ক্রেতাদের নজর কাড়তেই এবার নতুন কিছু উপস্থাপন করা হয়েছে।
📈 চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি:
বাজারের বিক্রেতা রতন কর্মকার বলেন, “এখনো অনেকে পশু কেনেননি, তাই ছুরি-বটি কেনার জন্য বাজারে চূড়ান্ত ভিড়টা পড়ে ঈদের একদিন আগে রাতে। আমরা সেই রাতের জন্যই অপেক্ষা করছি।”
📊 দাম কিছুটা বেড়েছে, তবুও বিক্রি বাড়ছে:
দোকানদাররা জানান, কাঁচামাল, শ্রম ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কিছু আইটেমের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
বর্তমানে বাজারে যে দামগুলো দেখা যাচ্ছে তা হলো:
বড় ছুরি: ৪০০–৭০০ টাকা
চামড়া ছাড়ানোর চাকু: ১০০–২০০ টাকা
দা (আকার ভেদে): ৩০০–১০০০ টাকা
বটি: ২০০–৪০০ টাকা
🌃 বেচাবিক্রির মূল সময় ঈদের আগের রাত:
ঈদের আগের রাতে দোকানগুলোতে ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। সারাদিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর বিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দোকানিরা বলছেন, এই কয়েক ঘণ্টার বিক্রিতে এক মাসের আয়ের সমান লাভ হয়।
💬 কামারদের মুখে আশা:
“সারা বছর কামারপল্লিতে যা আয় হয়, তার চেয়ে এই ঈদ মৌসুমে কয়েকগুণ বেশি আয় হয়,” বলেন এক কামার। এই বাড়তি রোজগার দিয়েই তারা বছরের বাকিটা সময় টিকে থাকার স্বপ্ন দেখেন।