ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
২০ মে কুরস্ক অঞ্চলে সফরের সময় পুতিনের হেলিকপ্টারের উড্ডয়নপথে একটি ড্রোন পাঠানো হয়েছিল, যা রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করে—এমনটাই জানিয়েছেন রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের কমান্ডার ইউরি দাশকিন।
এই অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি যদি সত্য হয়, তবে এটি ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের ওপর সরাসরি হামলার অভিপ্রায় নির্দেশ করে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কমান্ডার দাশকিন বলেন:
“২০ মে তারিখে প্রেসিডেন্টের কুরস্ক সফরের সময় ইউক্রেন নজিরবিহীন ড্রোন হামলা চালায়। আমরা ৪৬টি ড্রোন ভূপাতিত করি। এর একটি সরাসরি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের পথ বরাবর আসছিল।”
তিনি আরও দাবি করেন, ওই ড্রোন পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার অংশ হতে পারে।
রাশিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত মাত্র ৩ দিনে ইউক্রেন ১,১৭০টি ড্রোন রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ছুড়েছে।
এই হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামর্থ্য ও মনোযোগ ব্যাপকভাবে পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
২০২৪ সালের আগস্টে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, কুরস্ক অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায়।
এটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ ভূখণ্ডে প্রথম বড় পরিসরের আক্রমণ।
পরবর্তীতে, ২০২৫ সালের মার্চে রাশিয়া এক বৃহৎ পাল্টা অভিযান চালিয়ে অঞ্চলটি পুনর্দখল করে।
এতে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহায়তা থাকার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা।
বর্তমানে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী তদন্ত করছে, এই হামলা একটি সরাসরি হত্যাচেষ্টা ছিল, নাকি পুতিন ও রুশ নেতৃত্বের উপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের এই ধরনের উচ্চ-লক্ষ্যভিত্তিক হামলা রাজনৈতিক বার্তা বহন করে এবং যুদ্ধের গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ক্রমেই রাষ্ট্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে সরাসরি লক্ষ্য করে অভিযান চালানোর নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে।
যদিও পুতিন নিরাপদে সফর শেষ করেছেন এবং কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই, তবুও এই ঘটনা রাশিয়ায় নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
বিশেষ করে, ইউক্রেনের ড্রোন প্রযুক্তির কার্যকারিতা ও দূরত্ব অতিক্রমের সামর্থ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্ন উঠছে।
সূত্র: NDTV, RBC Russia, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়