ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫
শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, “বাংলাদেশে পুরুষদের সিগারেট খাওয়া যেন একটি সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এমনকি অনেক সময় তা বড়দের সামনে বেয়াদবি মনে করা হয় না।” তিনি ই-সিগারেট বৈধ করার বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “এভাবে তুলে ধরা হয় যেন সরকার তামাক কোম্পানির টাকায় চলে। অথচ বাস্তবতা হলো, সরকার চলে জনগণের টাকায়।”
তিনি বলেন, দেশের তরুণদের শক্তি ও সচেতনতা রয়েছে, যারা তামাক কোম্পানির ভয়াবহ বিস্তার রুখে দিতে পারে। “যারা একটা সরকার বদলে দিতে পারে, তাদের টার্গেট করে তামাক কোম্পানিগুলো ব্যবসা করতে পারবে না,” বলেন তিনি।
তামাক চাষের প্রভাব নিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলো নদীর পাড়ে চাষ করে, যা মাছের প্রজননে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গরু ও অন্যান্য প্রাণিসম্পদও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্য তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, “সব নেশার প্রবেশদ্বার হলো ধূমপান। অথচ সন্তানদের রক্ষায় আমরা কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছি না।”
তিনি বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থায় তামাকবিরোধী বার্তা নেই। পাঠ্যপুস্তকে তামাক নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নেই—এটা খুবই দুঃখজনক।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন নুরজাহান বেগম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরসহ অন্যান্যরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো—“তামাক: পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের দ্বৈত ক্ষতি”।