ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
বুধবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গুম কমিশন প্রতিবেদন জমা দিলে এই মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিবেদন হাতে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ভদ্রলোকেরা, আমাদের আত্মীয়-পরিজনেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মানুষের কাছে তুলে ধরার মতো নির্মমতা—হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত।”
তিনি জানান, গুমের শিকারদের বন্দিদশার ‘তিন বাই তিন ফুট’ সেল এবং মাসের পর মাস আটকে রাখার নিষ্ঠুর বাস্তবতা মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বাস্তব দলিল।
কমিশনে এখন পর্যন্ত ১,৮৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে
এর মধ্যে ১,৩৫০টি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন
৩৫০ জনেরও বেশি এখনও নিখোঁজ
গুমের শিকারদের পরিবার যেন ব্যাংকিং সেবা পায়, সে বিষয়ে সুপারিশ
সাত বছরের জায়গায় পাঁচ বছর পর নিখোঁজকে মৃত ঘোষণা করা যায়—এমন আইন সংশোধনের প্রস্তাব
এক কমিশন সদস্য জানান, অনেক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অনুশোচনায় ভোগেন এবং নিজ উদ্যোগে আত্মশুদ্ধির বার্তা দিয়েছেন। দুজন কর্মকর্তা লিখিত চিঠিও দিয়েছেন, যেগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান তা জনসমক্ষে স্বীকার করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা কমিশনকে নির্দেশ দেন,
“প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো কোন কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ে, তা নির্দিষ্ট করে দিন—যাতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে।”
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান
মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া
গুম কমিশন সদস্য নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন ও নাবিলা ইদ্রিস
#গুম #মানবাধিকার #গুমকমিশন #মুহাম্মদইউনূস #বাংলাদেশ #নিখোঁজ #গণতন্ত্র #হররমিউজিয়াম #জবাবদিহিতা #HumanRights #EnforcedDisappearance #Yunus #BangladeshNews