ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
এই আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
🔎 মূল অভিযোগের পটভূমি:
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরস্ত্র ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানো, গণহত্যা ও দমন-পীড়নের অভিযোগ আনা হয়। এতে সরকারি হিসাবে ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি অনুযায়ী প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
গণহত্যা
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
জোরপূর্বক গুম
নির্যাতন
রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নিপীড়নের নির্দেশ
📌 ঘটনার সময়কাল ও বিচারিক অগ্রগতি:
১২ মে ২০২৫: তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
১ জুন ২০২৫: ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়।
১৬ জুন: ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
২৪ জুন: অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য।
এরইমধ্যে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান ও মামুনকে পলাতক ঘোষণা করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচার অনুপস্থিতিতেই চলবে, যদি তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজির না হন।
📢 প্রসিকিউশনের বক্তব্য:
প্রসিকিউটররা আদালতে বলেন,
“আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণহত্যা ঘটিয়েছে। এটি শুধু রাজনৈতিক দমন নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ।”
#জুলাইগণহত্যা #শেখহাসিনাবিচার #মানবতাবিরোধীঅপরাধ #আন্তর্জাতিকঅপরাধট্রাইব্যুনাল #বাংলাদেশরাজনীতি #গণহত্যা #WarCrimes #JulyUprising