ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
মাতারবাড়ী ও মহেশখালী অঞ্চলে দ্রুত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগ জোরদারের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “মাতারবাড়ী হবে দেশের বৃহত্তম বন্দর, জ্বালানি ও শিল্পকেন্দ্র।”
মঙ্গলবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই)-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন তিনি।
সড়ক ও নৌপরিবহন সচিবদের মাতারবাড়ীকে জাতীয় সড়ক-যোগাযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দ্রুত সড়ক নির্মাণের নির্দেশ
বৃহৎ সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য আধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা
শ্রমিক ও জনবসতির জন্য পরিকল্পিত শহর গড়ার আহ্বান
ড. ইউনূস বলেন, “এই অঞ্চলকে সফল করতে হলে একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ড. ইউনূস জানান, ২৮ মে শুরু হওয়া তার জাপান সফরে মাতারবাড়ী অঞ্চলের উন্নয়নই হবে মূল আলোচ্য বিষয়। তিনি ৩০ মে টোকিওতে “নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া” সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবারের সঙ্গে বৈঠকে প্রকল্প তহবিল নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে জানানো হয়, জাপানের পর মাতারবাড়ীতে দ্বিতীয় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নিম্নোক্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে:
আরামকো (সৌদি আরব)
আবুধাবি পোর্টস ও রেড সি গেটওয়ে (সৌদি আরব)
জেরা (জাপান)
পেট্রোনাস (মালয়েশিয়া)
সম্প্রতি জাপানি প্রতিষ্ঠান পেন্টা-ওশান ও টিওএ কর্পোরেশন-এর সঙ্গে গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণে চুক্তি হয়েছে, যা জাইকা সমর্থিত এমআইডিআই প্রকল্পের অংশ।
মাতারবাড়ী-মহেশখালী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (MIDID) একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে কাজ করবে। এতে সরবরাহ চেইন, জ্বালানি এবং শিল্প কার্যক্রম একীভূত হবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং এমআইডিআই সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম।
ট্যাগস:
#মাতারবাড়ী #MIDID #অবকাঠামোউন্নয়ন #ডমুহাম্মদইউনূস #বিদেশিবিনিয়োগ #জাপান_সফর #নিক্কেই_সম্মেলন