ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫
বৈঠকের শুরুতে ড. ইউনূসকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দুই দেশের বিদ্যমান সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
এর একদিন আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "আমরা এমন একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করবে।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতা আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে। তাই জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল নেতৃত্ব এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
বক্তব্যে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টায় অবদান রাখা।"
বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ইউক্রেন, গাজা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংকটে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শান্তি এখন প্রায় অধরাই হয়ে পড়েছে।"
চারদিনের সফরে ড. ইউনূস অংশ নিচ্ছেন ‘নিক্কেই ফোরাম’-এ এবং জাপানের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করছেন। সফরকালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্ভাব্য ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস। হংকং পৌঁছালে সেখানকার শ্রমমন্ত্রী ক্রিস সান তাকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টার আগামী ৩১ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।