ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫
ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট এবং মহাসচিব বরাবর এক চিঠিতে জানান:
“এই হামলা ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইনকে পদদলিত করেছে।”
ইরান আরও বলে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে আত্মরক্ষার অধিকার দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে যৌক্তিকতা দাঁড় করাতে চায়, সেটি আইনের অপব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক আইনের হত্যাকাণ্ড।
চিঠিতে ইরান উল্লেখ করে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সাধারণ সভায় গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী:
“শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা কিংবা হামলার হুমকি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এটি IAEA’র নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস বলেন:
“বলপ্রয়োগ করলে তার পেছনে আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ ভিত্তি থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে “শতভাগ বৈধ বলা যায় না”।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ফর্দো ও নাতাঞ্জ এলাকায় ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বি-টু স্টেলথ বোমারু বিমানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, এটি ছিল আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশ এবং আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য কোনো যথাযথ আইনি ভিত্তি উপস্থাপন করতে পারেনি।
#ইরানযুক্তরাষ্ট্র
#জাতিসংঘ
#আন্তর্জাতিকআইন
#NuclearAttack
#USIranTension
#IAEA
#MiddleEastCrisis
#UNSecurityCouncil
#LegalDebate