ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি স্পষ্টভাবে বলেন:
🗨️ “ইসরায়েল সামরিক আগ্রাসন থামালে, আমরাও প্রতিক্রিয়া বন্ধ করব। কিন্তু যদি তা না করে, তবে আমাদের জবাব চলবে। যুদ্ধ থামাতে হলে ওয়াশিংটন থেকেই ফোন যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প যদি সত্যিই কূটনীতির পথে যেতে চান, নেতানিয়াহুকে থামানোই তার প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন:
🗨️ “ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই সফলভাবে এগোচ্ছে। ইসরায়েল জয়ের পথে।”
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তেহরানে ও অন্যান্য শহরে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ইরানের প্রতিরক্ষা কাঠামো দুর্বল করা হচ্ছে।
জি-৭ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন:
🗨️ “আমরা এখনও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাইনি, তবে ইরান যুদ্ধবিরতির আগ্রহ দেখাচ্ছে। এটা স্পষ্ট, এই যুদ্ধে ইরান জয়ী হচ্ছে না।"
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ কঠিন, তবে কূটনৈতিক পথেই সমাধান সম্ভব।”
রয়টার্স আগে জানায়, ইরান কাতার ও ওমানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা অস্ত্রবিরতির আলোচনায় নেই।
👉 ফলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপ্রধানদের বার্তার মাঝে সামঞ্জস্যের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে,
➡️ ইরান একদিকে আন্তর্জাতিক মহলে শান্তির বার্তা দিচ্ছে,
➡️ অন্যদিকে মাঠে শক্ত জবাব দিয়ে ‘প্রতিরোধের সক্ষমতা’ তুলে ধরছে।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
যুদ্ধের দিন | ৪র্থ দিন চলছে |
ইসরায়েলের অবস্থান | আক্রমণ অব্যাহত, আত্মবিশ্বাসী |
ইরানের অবস্থান | যুদ্ধবিরতির বার্তা, তবে শর্তসাপেক্ষে |
ট্রাম্পের ভূমিকা | শান্তির পক্ষে বার্তা, মধ্যস্থতায় অনুপ্রেরণা |
মধ্যস্থতাকারী দেশ | কাতার, ওমান |
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া | G7 সম্মেলনে উদ্বেগ, কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে |