ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫
রোববার খাইবার-পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “ভারত ভেবেছিল তারা আক্রমণ করবে, আর পাকিস্তান কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের ঐক্য এবং প্রতিরোধই তাদের সব ধারণা ভেঙে দিয়েছে।”
গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা এবং এরপর সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন:
“পাকিস্তানের সময়োপযোগী ও কার্যকর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ মোদির তৈরি সব ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনিরের নির্দেশে আমরা ২৬টি ভারতীয় অবস্থানে প্রতিশোধ নিয়েছি।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় বাহিনীর একটি ইউনিটের ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদের সাত বছর বয়সী শিশু ইরতাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী সৈন্যরা মোতায়েন ছিল।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আইএসপিআর প্রধান বলেন,
“তোমরা সবাই যেভাবে তোমাদের দেশের জন্য একতাবদ্ধ হয়েছ, তা এক ‘লৌহ প্রাচীর’ তৈরি করেছে। পাকিস্তানের জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী অতীতেও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে একসাথে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।”
তিনি স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র, কিন্তু পুনরায় আগ্রাসন ঘটলে আরও কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
আহমেদ শরীফ চৌধুরী বক্তব্যে বলেন:
“পাকিস্তান এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরির পেছনে ভারতের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।
নিরীহ বেসামরিক মানুষ হত্যা, মসজিদে হামলা— এসব কোনোভাবেই ইসলামী মূল্যবোধ, পশতুন সংস্কৃতি বা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ নয়।”
তিনি পরোক্ষভাবে ভারতের র-এর (RAW) বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও সমর্থনের অভিযোগ তোলেন, যদিও কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
মে মাসের শুরুতে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়, যার দায় স্বীকার করেনি কোনো দল।
এরপর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের দিকে অভিযানের প্রস্তুতির গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা সীমান্তে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতীয় অবস্থানগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়।
আইএসপিআর প্রধানের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় শূন্যের কোঠায়, এবং কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে সামরিক উত্তেজনা পুনরায় চরমে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর এমন টানাপড়েন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, আইএসপিআর, এনডিটিভি