ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫
এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
শনিবার (১২ জুলাই), ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে দুটি চিঠি প্রকাশ করে বলেন:
মেক্সিকো অবৈধ অভিবাসন ও মাদক প্রবাহে দায়ী।
ইইউ'র বিরুদ্ধে রয়েছে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার অভিযোগ।
তিনি আরও জানান, এই শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার্থে।
এই সপ্তাহের শুরুতেই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও ব্রাজিলসহ ২০টিরও বেশি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ হবে। এর মধ্যে কপারের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কও রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক বিবৃতিতে বলেন,
“ইইউ তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন,
“চুক্তি না হলে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি রাখা উচিত, এমনকি বলপ্রয়োগ-বিরোধী আইনি উপায়ও।”
ইইউ’র একটি আইন অনুযায়ী, যদি তৃতীয় কোনো দেশ রাজনৈতিক চাপে রাখতে চায়, তবে ইইউ সরকারি ক্রয়চুক্তি এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সীমিত করতে পারে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাম বলেন,
“আমার বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো আরও ভালো শর্তে একমত হতে পারবে। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
মেক্সিকোর ৮০ শতাংশ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে হয়, তাই এই শুল্কের প্রভাব মেক্সিকোর অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প কানাডার ওপর ৩৫% এবং ব্রাজিলের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ব্রাজিলের ক্ষেত্রে তিনি অভিযোগ করেন, সেখানকার ডানপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
#DonaldTrump #শুল্কনীতি #ইইউ #মেক্সিকো #আন্তর্জাতিকবাণিজ্য #USImports #TradeWar #MexicoExports #EUTrade #TrumpTariffs #GlobalPolitics